রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ' শুরু হয়েছে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিপুল নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে ব্যানার নিয়ে বর্ণিল পোশাকে হাজির হন নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ভাষ্য, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাকস্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা ও মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
সমাবেশের শুরুর দিকে দেয়া বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসমা হামিদ বলেন, “আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাসী আমি স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করেছি। এই দেশের মাটিতে স্বাধীনভাবে অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে চাই। আমি বাংলাদেশের সন্তান। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়, কিন্তু আমি তালিকাভুক্ত হয়েও ভোট দিতে পারিনি।
“আমি পরিবার নিয়ে ভোট দিতে গেলে বলে ‘আপনাদের ভোট হয়ে গেছে।’ এটা কেমন গণতান্ত্রিকতা? একজন আইনজীবী হিসেবে এর চেয়ে বড় দুঃখ কী হতে পারে? আমার থেকে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।’
সমাবেশ পরিচালনা করছেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
সমাবেশ থেকে এক দফা দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তরুণদের উজ্জীবিত করতে জুনের প্রথম দিকে বিএনপি ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এর ঘোষণা দেয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারুণ্যের সমাবেশ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।