ঝালকাঠি সদর উপজেলায় শনিবার বাস উল্টে পুকুরে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত ২৩ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বাসার স্মৃতি নামের যাত্রীবাহী বাসটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উল্টে পানিতে পড়ে যায়। এটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছিল।
নিমজ্জিত গাড়িটি রেকার দিয়ে ওপরে তুলেছে জেলা পুলিশের উদ্ধারকারী একটি দেল। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের ঝালকাঠির স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৭ ইউনিট উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। নিমজ্জিত গাড়িটি ওপরে তোলা হয়েছে। গাড়ির মধ্যে আর কোনো যাত্রী নেই, তবে পুকুরের মধ্যে কোনো যাত্রী আছে কি না, তা খুঁজতে আমরা তিনটি পাম্প দিয়ে পানি অপসারণ করতেছি।
‘পানির সেচ শেষ হলে বলা যাবে আর কোনো মরদেহ আছে কি না।’
হাসপাতালে আহাজারি করছেন প্রাণ হারানো লোকজনের স্বজনরা। তাদের সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন হাসপাতালে ছুটে যান।
নিহত ১৭ যাত্রীর মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে বলে নিউজবাংলাকে জানান সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার।
এ ঘটনায় শোকবার্তা দিয়েছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন।