বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা দেয়া নিয়ে দু পক্ষের উত্তেজনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ জুলাই, ২০২৩ ১৭:৫৮

বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এরপর ফেসবুকে এসে লাইভে এ নিয়ে কথা বলেন দু পক্ষের দুই নেতা।

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা দেয়া ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজন বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এরপর ফেসবুকে এসে লাইভে এ নিয়ে কথা বলেন দু পক্ষের দুই নেতা।

দুপুরে গণ অধিকার পরিষদের এক পক্ষের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, গণ অধিকার পরিষদের আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।

আর পরিষদের রেজা কিবরিয়ার পক্ষের নেতা ও পরিষদের কার্যালয় জামান টাওয়ারের মালিক মালিক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেছেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তি থ্রেটের মধ্যে থাকায় আজকে আমি দরজায় তালা লাগিয়েছি।

ফেসবুক লাইভে নুরুল হক বলেন, গণ অধিকার পরিষদের আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় তারা ঘটনাস্থলে থাকা দলের ২-৩ জন কর্মীর ফোনও কেড়ে নেন অপর পক্ষের লোকজন।

তিনি আরও বলেন, এই ভবনের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান নিজেই আমাদের দলের নেতা হওয়ায় দলের কার্যক্রম চালাতে বিনা ভাড়ায় এই অফিস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় আমরা তার সাথে একটা চুক্তিও করেছিলাম। সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে এই অফিস ছাড়তে হলে আমাদের ৬ মাস সময় নোটিশ দেয়া হবে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, অথচ কোনো নোটিশ না দিয়ে সরকারের গোয়েন্দাদের প্ররোচনায় গত দুই দিন ধরে আমাদের অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। আর আজ সকাল থেকে অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।

এ সময় নুরদের কার্যালয়ের গেটের সামনে নানা ধরনের স্লোগান দিতে গেছে।

এদিকে গণ অধিকার পরিষদের রেজা পক্ষের নেতা মিয়া মশিউজ্জামান তার ফেসবুক লাইভে বলেন, বেশ কয়েকদিন আগেই নুরদের জামান টাওয়ারে অবস্থিত গণ অধিকার পরিষদের অফিস ছাড়ার যে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কারণ তাদের ১৭ মাসের ভাড়া বাকি আছে। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেননি। অফিসও ছাড়েনি। এজন্য প্রথমে তাদের বিদ্যুৎ লাইন কাটা হয় এবং মৌখিকভাবে তাদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবারও অনুরোধ করা হয়।

তিনি বলেন, তখন তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে বা পাবলিক মিটিংয়ে আমার ওপর নানা রকম বিষোদগার করা হয় এবং এই ঘরের মালিকানা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে নুর ঘোষণা দেন এটা তারা দখলে রাখবেন। আমার পৈতৃক সম্পত্তি এরকম থ্রেটের মধ্যে থাকায় আজকে আমি দরজায় তালা লাগিয়েছি।

এ বিভাগের আরো খবর