নওগাঁর বিখ্যাত আম্রপালি আমের প্রচার ও প্রসারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।
মাত্র এক যুগের ব্যবধানে নওগাঁ জেলা আম উৎপাদনে ঘটিয়েছে নীরব এক বিপ্লব। কৃষিজমিতেই ধান চাষের পাশাপাশি আম চাষ করে দেশের প্রধান দুই আম উৎপাদনকারী জেলা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে পেছনে ফেলে আম উৎপাদনের শীর্ষে পৌঁছেছে নওগাঁ।
বর্ণে-গন্ধে খেত সুস্বাদু-সুমিষ্টি ও গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশ সেরা এখন নওগাঁর আম্রপালি। বিদেশেও এ আমের ব্যাপক সুনাম। তাই এ আমকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা ও আম্রপালি আমের প্রচার-প্রসারের দাবি করেছেন আম চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে আমের জন্য সুখ্যাতি পেয়েছে নওগাঁ। জেলায় আমের ফলনও বেশ ভালো। চলতি বছর জেলার ৩০ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি জমিতে চাষ হয়েছে আম্রপালির। সবচেয়ে বেশি আম্রপালি চাষ হয় জেলার সাপাহার ও পোরশা উপজেলায়।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া ও মাটির কারণে অন্যান্য আমের থেকে আম্রপালি আমের ফলনও বেশি হয় নওগাঁয়। সাধারণত আম এক বছর ফলন দেওয়ার পর পরের বছর আর ফলন দেয় না কিন্তু আম্রপালি প্রতিবছর ফলন দেয়। বরেন্দ্র এলাকার এঁটেল মাটির আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারে চাহিদা থাকে। ভালো দামও পাওয়া যায়।
সম্প্রতি নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ হল রুমে জেলার প্রায় শতাধিক আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে জেলা কৃষি বিভাগ। এ সভায় জেলার আম চাষিরা আম্রপালিকে প্রসার ও প্রচারের দাবি জানান। সেই দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয় জেলা কৃষি বিভাগ।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, নওগাঁর মাটি ও জলবায়ুর বিশেষত্বের কারণে দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় নওগাঁর আম অনেক সুস্বাদু হয়। সাপাহার ও পোরশা উপজেলার আম্রপালি সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো আম্রপালি আমের তুলনা হয় না।