নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে আটজন আহত এবং বাড়িঘরে হামলা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার আলোকবালীর খোদাদিলা গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে ওই সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হাজী হাসান আলী এবং একই ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন হালিম মিয়া, হারুন মিয়া, মাসুদ রানা, আল আমিন, নাহিদ সরকার, সাকিব সরকার, শফিউল্লাহ ও নাজমুল হাসান। আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আটকদের একজন আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হাজী হাসান আলীর ভাগিনা ২০ বছর বয়সী নাজমুল ইসলাম। অপরজন ৩০ বছর বয়সী আল আমিন।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হাজী হাসান আলী বলেন, ‘বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উয়ন্নয়ন সমাবেশে অংশ নেয়া আমার কয়েকজন কর্মীকে রাত ১০টার দিকে জয়নাল ও তার ভাই ইসলাম, কর্মী আল আমিন ও কুতুব উদ্দিন মারধর করেন। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগের কর্মী শহীদ মিয়া ও আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। আমার কর্মী হালিম, হারুন ও মাসুদকে টেঁটাবিদ্ধ করেছে তারা।’
এ বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিনকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আওয়ামী লীগের লোকজন হঠাৎ ভোরে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং চারজনকে গুলি করে আহত করে। জাকির ও হাসান আলীর লোকজন এ কাজ করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।’
নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘অভিযুক্ত জাকির হোসেন ও জয়নাল আবেদিনের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের নেতৃত্বের আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।’