ব্যক্তিমালিকানাধীন ছাত্রী নিবাসের একটি কক্ষ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) এক ছাত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট জানিয়েছেন।
প্রাণ হারানো শাহরিন রিভানা নামের ওই ছাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি ডিপার্টমেন্টের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি পিরোজপুরের সোহাগদল এলাকার আলতাফ মাসুম ইসলাম শাহীনের মেয়ে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্নকাঠি আনন্দবাজার এলাকায় মোল্লা ছাত্রী নিবাসে থাকতেন রিভানা। গত ১৬ জুলাই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এরপর থেকে ছাত্রীর কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। গত বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রীর মা মেয়ের সন্ধানে আসেন। পরে ছাত্রী নিবাসের অন্যান্য ছাত্রীদের সহায়তায় কক্ষ খুলে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, রিভানা শরীর ফুলে ওঠে পচন ধরেছে। লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে ১৬ জুলাইয়ের পর হয়তো দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর বিস্তারিত বলতে পারব।
ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মশিউর রহমান বলেন, ‘ওই কক্ষে ছাত্রী একাই থাকতেন। কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ডিপ্রেশনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। পরিবার ময়নাতদন্ত চায় না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ছাত্রীর মা বলেন, ‘প্রায়ই মোবাইল ফোন বন্ধ রাখত। দুই দিন আগে ফোনে কথা হয়েছিল। তখন তাকে বলেছি ডাক্তার দেখাতে আসব। তখন সে বলেছে ডাক্তার দেখিয়ে রুমে আসবে। তোমাদের সঙ্গে বাড়ি যাব। ডাক্তার দেখিয়ে এসে দেখি রুম আটকানো। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। বাসার মালিককে ডাক দিয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখি তার ঝুলন্ত মরদেহ।’
ওই ছাত্রীর মায়ের দাবি, রিভানা একা এক রুমে থাকত। তাই প্রায়ই ডিপ্রেশনে থাকত।