বিএনপি ঝগড়া বাধাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আমরা শান্তি চাই, ওরা পায়ে পা পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। আসলে বিদেশিদের কাছে চাওয়া পূরণ না হওয়ায় তাদের মাথা গরম হয়ে গেছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রে-ইইউ সবাই সংবিধানসম্মত পথে নির্বাচনের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ফানুসের মতো উড়ে গেছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রাপূর্ব বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপ আমেরিকা বলে গেছে, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। ইউরোপ আমেরিকা এ কথা বলার পর বিএনপির খারাপ হয়ে গেছে। এখন গালিগালাজ করছে, আশা পূরণ হয়নি বলে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে বলে।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানসম্মান থাকতে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। অন্যথায় মানসম্মান থাকবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মাথা গরম করবেন না। বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইবে। দেশে শান্তি যত থাকবে আওয়ামী লীগের ভোট তত বাড়বে। একদিকে জনগণের শক্তি, অন্যদিকে সন্ত্রাস আর তাণ্ডব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে পরিষ্কার বলতে চাই নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না আসলে সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব।’
ডিসেম্বরে ‘খেলা হবে’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘খেলা হবে ডিসেম্বরে। তৈরি হয়ে যান। আজকে জনগণের শক্তি একদিকে, আরেকদিকে বিএনপির নেতারা, সন্ত্রাস আর অস্ত্র। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির অন্তরজ্বলা বেড়ে যাচ্ছে। এক দিনে শত সেতুর উদ্বোধন, আগামী মাসে আরো শত সেতুর উদ্বোধন। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল। চট্টগ্রামে নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল - এত উন্নয়ন কিভাবে ঠেকাবে? বিএনপির ঘুম নেই। কারণ বিএনপি উন্নয়ন বলতে কিছু করেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের এত উন্নয়ন দেখে বিএনপি বুঝে গেছে নির্বাচনে কী হবে। নির্বাচনে হেরে যাবে জেনে তাদের মন খারাপ। এজন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে, বগুড়ায় স্কুল ছাত্রীদের ওপর হামলা করেছে। ককটেল মারে বিএনপি!’
বিএনপির ৫৪ দল, ৩৬ দল, ২৭ দফা, এক দফা, বিএনপি জোট ভুয়া উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না। সারা বাংলাদেশে আজ দফা একটা, স্লোগান একটা- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।’
শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রাপূর্ব আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে সাতরাস্তার মোড় থেকে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা বের করা হয়।