ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নিধনে বিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বনশ্রীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান ডিএনসিসির মেয়র।
সেখানে বক্তব্যের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আইডিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশাত আজহারের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান মেয়র আতিকুল।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘জমা পানিতে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঘরবাড়ি, বারান্দা, ছাদ, বেজমেন্ট পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে।’
এ সময় মেয়র এডিস মশার উৎসস্থল গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন।
পরে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, ‘শুধু সিটি করপোরেশন একা নয় বরং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘লার্ভা পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বাসা-বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করছেন। অভিযান বাড়াতে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের জন্য আরও ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। ভবনের বেজমেন্টে যেখানে গাড়ি ধোয়া হয় সেখানে প্রচুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ভবনের ভেতরে বেজমেন্ট, বারান্দা ও ছাদের দায়িত্ব নেবে না। যার যার ভবনের দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।’
বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রচারাভিযান শেষে ডিএনসিসির মেয়র রামপুরায় একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, একরামুন্নেছা বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও মধুবাগের শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান।
বুধবার ডিএনসিসির চলমান মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের ১১তম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রচারাভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।