বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বগুড়ায় চার মামলায় আসামি বিএনপির ২১১ নেতা-কর্মী

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ১৯ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫১

বগুড়া সদর থানায় তিনটি ও দুপচাঁচিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। সদর থানার দুটি মামলা বিস্ফোরক দ্রব্য এবং একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। এ তিন মামলারই বাদী পুলিশ। দুপচাঁচিয়া থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার বাদী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের চালক ফেরদৌস।

বিএনপির মঙ্গলবারের পদযাত্রায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা চারটি মামলা করা হয়েছে।

এসব মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ দলটির ২১১ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর বগুড়া সদর থানায় তিনটি ও দুপচাঁচিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। সদর থানার মামলা দুটি বিস্ফোরক দ্রব্য ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। এ তিন মামলারই বাদী পুলিশ।

দুপচাঁচিয়া থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার বাদী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের চালক ফেরদৌস।

বগুড়া সদর থানার মামলায় রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

দুপচাঁচিয়া থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় স্থানীয় বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনসহ অন্যান্য ধারায় চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশ জানায়, বিএনপির মঙ্গলবারের পদযাত্রা কর্মসূচি অনুযায়ী গাবতলী, শাহাজানপুর, ধুনট, শেরপুর ও বগুড়া শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের বিএনপিসহ তাদের অঙ্গ সংগঠন বনানী থেকে মিছিল নিয়ে সাতমাথার জেলা কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়। এ পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা।

বিএনপির মিছিলটি ইয়াকুবিয়া মোড়ে এসে সোজা রাস্তা দিয়ে সাতমাথার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জলেশ্বরীতলা কালিমন্দির হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে বলা হয় । এ বাধাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে পদযাত্রার পেছন থেকে লাঠিসোটা, ইট ছুড়তে থাকেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই সময় পুলিশ ১০টি টিয়ারশেল ও ২০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ওই সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক তরিকুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় বগুড়া বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেছেন। মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে প্রধান আসামি করা হয়। আরও ৪৮ জনকে এতে আসামি করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনাতেও বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনাকে প্রধান আসামি করে ২৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। মামলা করেন সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহীদুল ইসলাম।

একই দিন দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে শহরের নবাববাড়ি সড়কে পুলিশের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগ বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আলাদা আরেকটি মামলা করেন বগুড়া সদর থানার এসআই আব্দুল মালেক। মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশাসহ ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের চারটি টিয়ারশেল ও ২০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিএনপির গ্রেপ্তার দুই নেতাকে বুধবার আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

বাস ভাঙচুরের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের চালক মো. ফেরদৌস।

মামলায় আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি সভাপতি আবদুল মুহিত তালুকদারসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মঙ্গলবার বগুড়া শহরে পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে উপজেলার সাহারপুকুর বাজার এলাকায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনসহ দুটি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় বিএনপির তিন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর