লক্ষ্মীপুরে পদযাত্রা ও শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
বাহিনীর ভাষ্য, পুলিশের গুলিতে নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে তিন থেকে চার যুবক মো. সজীবকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
নিহত ব্যক্তি কৃষক দলের সদস্য বা নেতা নয় বলেও দাবি পুলিশের।
এসব বিষয়ে বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।
তিনি বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সজিব আহত অবস্থায় ফিরোজা ভবন নামে একটি বাসায় ঢুকে পড়ে। মৃত্যুর আগে সেখানকার এক ব্যক্তির সঙ্গে সজিবের কথা হয়েছে। সজিব ওই ব্যক্তিকে বলেছে, তিন থেকে চারজন লোক তাকে কুপিয়েছে। তার কাছে তারা টাকা পায়। তিনি বিয়েও করেছেন। এরপর সজিব আর কোনো কথা বলতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করে সজিবের চিকিৎসার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স চালককেও কল করেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে হামলার ঘটনার কারণে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে পারেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ যাওয়ার আগেই প্রচুর রক্তক্ষরণে সজিব মারা যান। বিএনপির হামলায় ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতাল ও দোকানঘর ভাঙচুর করেছে। তারা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।’
এদিকে একই ঘটনায় রাতে জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে নিহত সজীবকে কৃষক দলের চরশাহী ইউনিয়ন কমিটির সদস্য বলে দাবি করা হয়।
সজীব চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হিসেবে ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষ, হতাহত ও নাশকতার ঘটনায় বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
লক্ষ্মীপুর শহরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বাসভবনের সামনে বুধবার দুপুর ১টার দিকে নিহতের গায়েবি জানাজার আয়োজন করে বিএনপি।