ঢাকা থেকে ট্রেনে করে নানি নুরজাহান বেগমের সঙ্গে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে যাচ্ছিল ৮ বছর বয়সী বাপিয়া। পথে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী স্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করলে শিশু বাপিয়া পানি খেতে নামে।
অবুঝ শিশু আর ট্রেনে ফিরতে পারেনি। এদিকে অসচেতন নানি বাপিয়াকে রেখেই ট্রেনে করে চলে যান।
ঠিকানা বলতে না পারা শিশুটিকে খুঁজে পান ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ হাসান মেহেদী রুবেলের স্ত্রী সৈয়দা রিপা।
এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে বাপিয়ার পরিবারের খোঁজ পান তারা। মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি নানীর কাছে ফিরে যায়।
জানা গেছে, শনিবার নানীর কাছ থেকে হারিয়ে বাপিয়া ফুলবাড়ী শহরের ঢাকা মোড় থেকে অটোরিকশায় উঠে।
ওই অটোতে ছিলেন সৈয়দা রিপা। বাপিয়াকে একা দেখে কোথায় যাবে, মা-বাবা কোথায়সহ বিভিন্ন তথ্য জিজ্ঞাসা করেন তিনি। এতে বাড়ি বদরগঞ্জ ও মা-বাবার নাম ছাড়া কোনো উত্তর দিতে না পারায় বুঝতে পারেন শিশুটি হারিয়ে গেছে।
পরে তিনি বাপিয়াকে বাসায় এনে রাখেন। ঠিকানা খুঁজতে ছবিসহ পোস্ট দেন। চার দিন পর ওই পোস্টের সূত্রে যোগাযোগ হয় বাপিয়ার নানির সঙ্গে।
মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটিকে নেয়ার জন্য ফুলবাড়ীতে সৈয়দ হাসান মেহেদী রুবেলের বাসায় আসেন নানি নুরজাহান বেগম, খালা মমতাজ বেগম ও খালাতো ভাই রকি। পরে তাদের হাতে বাপিয়াকে তুলে দেয়া হয়।
নানি নুরজাহান বেগম বলেন, ‘নাতনিকে খুঁজে দিশা শেষ। ফেসবুকে দেখি সেখানোর নম্বারে যোগাযোগ করি।’
এ বিষয়ে সৈয়দ হাসান মেহেদী রুবেল বলেন, ‘আমার স্ত্রী তাকে সন্তানের মতো রেখেছে। তার পরিবারের খোঁজ পাওয়ায় তাকে হস্তান্তর করলাম।’