কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
শহরের রথখলা এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই সাংবাদিকসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন ।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে পদযাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে রথখলা এলাকার কাছে এসে পৌঁছার পর পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। একপর্যায়ে পুলিশও টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
প্রায় আধা ঘণ্টা শহরের আখড়া বাজার থেকে রথখলা এলাকা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষ চলাকালে ইটের আঘাতে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি খাইরুল আলম ফয়সাল ও মানবজমিনের নিজস্ব প্রতিবেদক আশরাফুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্ণেল জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনিসহ ৮ থেকে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী মোস্তফা তাজবির, পল্লী ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার মুসা তানহা, নিকলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান রয়েছেন।
আহত সবাই শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশ হামলা ও গুলি নিক্ষেপ করেছে। এতে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান শরীফুল আলম।
সংঘর্ষের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার জানান, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে রথখলা ময়দান পর্যন্ত। রথখোলা ময়দান পেরিয়ে সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
তিনি বলেন, কত রাউন্ড টিয়ারশেল ও বারার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে সেটা পরে জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।