গোপালগঞ্জে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলা ও উপজেলা সদরসহ গ্রামের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন ৪৩ জন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২০, টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে তিনজন, কোটালীপাড়া হাসপাতালে দুই, মুকসুদপুর হাসপাতালে ১৪ ও কাশিয়ানী হাসপাতালে চারজন রোগী ভর্তি আছেন। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩২ জন।
সোমবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী গাউজ আলির বাড়ি গোপালগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে স্থান সংকুলানে বেগ পেতে হবে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতির মধ্যে গোপালগঞ্জ শহরে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে আছে। অপরিষ্কার অবস্থায় ড্রেন, বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটে ডাবের খোসা ও ফুলের টবে জমে রয়েছে পানি, যা থেকে বংশবিস্তার করতে পারে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা।
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভেতর ও আশপাশের এলাকায় খুবই নোংরা হয়ে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, হাসপাতাল এলাকায় নোংরা পরিবেশ। ভেতরে ও বাইরে একই অবস্থা। এখানে মাসের পর মাস আবর্জনা ও সেফটি ট্যাংকির ময়লা উপচে থাকে। সেখান থেকে প্রচুর মশা-মাছি জন্ম নেয়। অপরিচ্ছন্ন জায়গা পরিষ্কার করা জরুরি।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘রোগীর চাপ বাড়ায় আমরা ডেঙ্গু ওয়ার্ড খুলেছি। ওষুধ বা স্যালাইনের কোনো কমতি নেই।’
জেলার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, জুন মাসে ৭০ জন রোগী ছিল। এই মাসের ১৫ দিনে ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ রোগী ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে গোপালগঞ্জে এসে ভর্তি হচ্ছে।
তিনি ডেঙ্গু মোকাবিলায় নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা পরিস্কার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।