ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে ভোটারদের দিতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আনিসুর রহমান।
ঢাকা সেনানিবাসের শিশু মঙ্গল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল ৯টার দিকে নিজের ভোট দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাপার প্রার্থী বলেন, ‘যদি ভোট দিতে আসেন, দয়া করে লাঙ্গলের পক্ষে যদি ভোটটি দেন, তাহলে এবার বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।’
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি একটু ধীর হচ্ছে, তবে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। প্রস্তুতিও ভালো। এর আগেও জনগণকে আহ্বান করেছি, আজকেও বলব, অবশ্যই আপনাদের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করুন।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চান, তাহলে ভোট দিন। আপনাদের একটি ভোটই হয়তো ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারবে। বাসায় না থেকে ভোটকেন্দ্রে আসুন।’
আনিসুরের উদ্দেশে এক সাংবাদিক বলেন, ‘আপনার কর্মীদের আজ ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে আহ্বান করতে দেখা যায়নি।’
জবাবে জাপার প্রার্থী বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মী আছে। আমি ঘুরে ঘুরে দেখব। উনারা যদি ভোটারদের না আনতে সক্ষম হন, তাহলে তাদের আরও তৎপর হতে আমি অনুরোধ করব।’
সকালে ভোটকেন্দ্রে আনিসুরের পোলিং এজেন্ট ছিলেন না। সে কারণে অনেকে ভোট দিতে এসে ফিরে গেছেন। এজেন্টরা কেন আসেননি জানতে চাইলে আনিসুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসলে নির্বাচনটি অত্যন্ত শর্ট টাইমের মধ্যে হয়েছে। অনেক দলই তো অনেক বেশি সুসংগঠিত। আমাদের দলও সুসংগঠিত।
‘তারপরেও সবাইকে অ্যাকটিভ করতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। কিছু দুর্বলতা তো আছেই।’
জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ সবাই যদি ভোট দিতে আসেন, দয়া করে লাঙ্গলের পক্ষে যদি ভোটটি দেন, তাহলে এবার বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।’
‘সকাল থেকে ভোটার দেখছি না। আপনার কেন মনে হচ্ছে লাঙ্গল বিজয়ী হবে?’
উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মানুষের মনে প্রেসিডেন্ট হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ স্যারের স্মৃতি। ঢাকা-১৭ আসনের জন্য তার ভালো কাজ, এগুলো এখনও মানুষের মনে আছে।
‘আমরা ডোর টু ডোর মানুষের কাছে গিয়েছি। মানুষের সঙ্গে চোখে চোখে তাকিয়ে কথা বলেছি। আমরা তাদের সাড়া পেয়েছি। আমরা তো আশা নিয়েই বেঁচে থাকি।’
ভোটার উপস্থিত কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালের শুরুটা একটু স্লো। বৃষ্টির কারণে একটু ধীর হয়েছে। আমি মনে করি একটু পরেই মানুষের ঢল ভোটকেন্দ্রে চলে আসবে ইনশাল্লাহ।’
একই কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শেখ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। এটা আশাব্যঞ্জক না। আমার মনে হয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা কম ছিল।
‘আর পাঁচ ছয় মাসের নির্বাচন তো, এ কারণে মানুষের মনে নির্বাচনকেন্দ্রিক উৎফুল্লতা দেখা যাচ্ছে না।’
‘আপনারা যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা অনেক জায়গায় এজেন্ট দিতে পারছেন না। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?’
উত্তরে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে পাঁচ মাসের। নির্বাচন যদি নরমাল খরচের মতো হয়, তাহলে এটা একটা প্রার্থীর জন্য দুঃখজনক। আর এখানে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, যেটা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না, নির্বাচনে কিন্তু প্রচুর খরচ হয়।
‘আমি নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম, আপনারা অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করেন। কারণ অনলাইন ভোটিং সিস্টেম ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবে না। অনেক সময় অনেক স্থানীয় প্রভাবশালীরা বলেন, আপনার এজেন্ট হবেন না। তখন রাতারাতি চেঞ্জ হয়ে যায়। এই কারণে অনেক এজেন্ট দিতে পারে নাই।’
এই প্রভাবশালী কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একটা অদৃশ্য শক্তি।’
‘আপনি প্রার্থী হিসেবে এ রকম কোনো চাপ অনুভব করছেন?’
উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ প্রার্থী বলেন, ‘ওই রকমভাবে যে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা হয় নাই। বিচ্ছিন্ন ঘটনা তো দুই-একটা থাকবেই, সেটা তো আমরা মেনেই নিই।’