রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাট এলাকায় একটি ওয়াটার বাস যাত্রীসহ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
রোববার রাত সোয়া ৮টায় এই দুর্ঘটনার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে।
রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এক শিশু ও তিন নারীসহ ৮ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল। তাদের মধ্যে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ চারজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।
ওয়াটার বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ও সিদ্দিকবাজার থেকে একটি ইউনিট ডুবুরিসহ ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করেছে।
ওয়াটার বাসটি নদী তীরের কাছাকাছি ডুবেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ডুবে যাওয়া নৌযানটির অধিকাংশ যাত্রী তীরে উঠে গেছেন।’
রাতে পৌনে ১২ টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রশিদ উন নবী বলেন, 'এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।'
তবে সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশ সূত্রের দাবি, ওয়াটার বাসডুবির ওই ঘটনায় রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তখনও উদ্ধার অভিযান চলছিল।