জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন আজ সোমবার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন।
প্রার্থীরা হলেন- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, আলোচিত ইউটিউবার মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান এবং তারিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে হিরো আলম ও তরিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন এই উপনির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নিতে যাচ্ছে। তবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষগুলোতে সিসি ক্যামেরা থাকবে। নির্বাচন ভবন থেকে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা।
এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৪টি।
মাত্র মাস পাঁচেকের জন্য এ আসনের নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। প্রার্থীদের পোস্টারে ছয়লাব পুরো নির্বাচনী এলাকা। গত কয়েকদিন প্রার্থীরা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। যদিও এ নির্বাচনে রাজপথের প্রধান বিরোধী বিএনপি অংশ নেয়নি। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও প্রার্থী দেয়নি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, রোববার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। আর ভোটের দিন আজ ভোরে বনানীর একটি নির্ধারিত জায়গা থেকে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে।
এদিকে নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। শনিবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল চালাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আর রোববার রাত ১২টার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণভাবে ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার ও ইজি বাইক চলাচল নিষিদ্ধ।
তবে সংলগ্ন মহাসড়কগুলো এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকছে। এ ছাড়া নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জরুরি সেবার কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।