বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থানায় বৃদ্ধকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ১৬ জুলাই, ২০২৩ ১৭:১৮

মামলার বিবরণে বলা হয়, বাদী আকমানকে থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় রোববার এসআই নূর মোহাম্মদকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে তা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।

এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হাত ভাঙ্গার অভিযোগে মাদারীপুরে শিবচর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মামলাটি আমলে নিয়ে রোববার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী মামলা করার পর মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিজিৎ চৌধুরী এ আদেশ দেন।

ভুক্তভোগী ৬০ বছর বয়সী আকমান মাদবর একটি মামলার ৪ নম্বর আসামি। আদালতের নির্দেশে আকমান মাদবরসহ বাকি আসামিদের ৯ জুলাই গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশের এসআই নূর মোহাম্মদ।

মামলার বিবরণে বলা হয়, থানায় নিয়ে যা্ওয়ার পর আকমানকে থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যান নূর মোহাম্মদ। পরে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে তাকেসহ ওই চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়। ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন আকমান।

এ ঘটনায় রোববার এসআই নূর মোহাম্মদকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন আকমান মাদবর। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মামলার আসামিসহ জেলা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কোনো বক্তব্য দেননি। তবে তারা বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলার কথা জানিয়েছেন।

মামলার বাদী আকমান মাদবর বলেন, ‘পুলিশের এসআই নূর মোহাম্মদ আমাকে থানার একটি রুমে নিয়ে বেঞ্চের নিচে মাথা দিয়ে সারা শরীরে লাঠি দিয়ে পেটান। পরে থুথু ফেলে আমাকে দিয়ে চাটাইছেন। এক পর্যায়ে আমাকে দিয়ে কয়েকবার আব্বা ডাকান ওই পুলিশ সদস্য। এই ঘটনা কাউকে বললে আবারও নির্যাতন চালানোর হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় ওই নির্যাতনকারী পুলিশের সাজা দাবি করছি আমি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী জামাল হোসেন জানান, থানায় কোনো আসামিকে নির্যাতন করার আইনগত অধিকার কারও নেই। ভুক্তভোগীর করা মামলায় আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আগামীতে যাতে কোনো পুলিশ এমন নির্মম অত্যাচার না করেন সে ব্যাপারে সঠিক তদন্ত আশা করছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর