দুর্নীতির তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীন হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
একেএম আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ৬ এপ্রিল তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন। এসব আউয়াল ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়। আউয়াল পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে রয়েছেন।
একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়, আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি মৌজায় সরকারী পাঁচ শতাংশ জমি ইজারা নেন।
ইজারা নেয়ার আবেদনপত্রে লায়লা ইরাদের সই ছিল। চুক্তি অনুযায়ী আধাপাকা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে একেএম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে ওই জমি দখলে রাখা হয়।
২০২১ সালের ২২ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদক কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।
একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ আনা হয়, আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের জমি স্ত্রীর নাম লায়লা পারভীনের বদলে লায়লা আউয়াল উল্লেখ করে ৪৪ শতাংশ জমি দুজনের নামে নেন। পরে পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেয়া হয়। একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালীন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈচাকাঠি পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের পাশে বৈচাকাঠি মৌজায় ৩ শতাংশ খাস জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে নিয়ে দ্বিতল ভবন করে মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেন। এ মামলায় একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।