রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট রাব্বির দিকে চোখ পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি এগিয়ে যান, পরম মমতায় আদর করেন শিশুটিকে। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান-কী করে সে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে।
রাব্বি হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে জেনে অসহায় এ শিশুর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার হাসপাতালটিতে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ছবি তোলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জিজ্ঞাসায় ১১ বছরের রাব্বি জানায়, সে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করতেন। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে থাকেন। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর। ক্যান্টিনে কাজ নেয়ার আগে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে রাব্বি।
এ সময় ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ‘আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।’
এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হন। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।