বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি ৩০ কেজির কালো পোপা

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৫ জুলাই, ২০২৩ ১৪:৫০

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচ মাঝিসহ ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে রওনা দেই। সাগরের বারো বাইন এলাকায় গিয়ে জাল ফেলি। জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ কালো পোপা মাছটিও আটকা পড়ে। জেলেরা অনেক খুশি।’

বঙ্গোপসাগরের বারো বাইন এলাকায় ধরা পড়া ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপা মাছটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছটি কয়েক হাত ঘুরে ওই দামে বিক্রি হয়। বিক্রির প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী জানান, ওই কেন্দ্রের ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ মনো শুক্রবার রাত ১টার দিকে মাছটি কেনেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

শামলাপুর নৌ ঘাটের জেলে কমিটির সভাপতি মাঝি সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলেরা সাগর থেকে বাহারছরা নৌ ঘাটে ফিরে কালো পোপা মাছটির (স্থানীয় ভাষায় পোয়া) দাম হাঁকান সাড়ে সাত লাখ টাকা। এ খবর এলাকায় ছড়ালে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন।

সৈয়দ আহমদের ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচ মাঝিসহ ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে রওনা দেই। সাগরের বারো বাইন এলাকায় গিয়ে জাল ফেলি। জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ কালো পোপা মাছটিও আটকা পড়ে। জেলেরা অনেক খুশি।’

ট্রলার মালিক সৈয়দ আহমদ বলেন, ‘মাছটি সাড়ে সাত লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছিল। পরে চার লাখ টাকায় মাছটি কেনেন মো. ইউনুস নামের এক মাছ ব্যবসায়ী।’

শাপলাপুরের বাসিন্দা মো. ইউনুস বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের সাবরাং বাহারছড়া ঘাটে ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপা মাছটি চার লাখ টাকায় কিনি। পরে মাছটি কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে এনে ১২ লাখ টাকা দাম চাই। এ সময় মনো সওদাগর নামের ব্যবসায়ীকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।’

এদিকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। আগামী ২৩ জুলাই এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে।

এর মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে করে সাগরে মাছ শিকার করছেন জেলেরা।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক কাজে উপজেলার বাইরে আছি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় অধিকাংশ নৌযান সাগর থেকে নিরাপদ স্থানে তুলে রাখা হয়েছে। জানা মতে, কোনো নৌযান মাছ শিকারে যাওয়ার কথা নয়। তবে ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপা মাছটি ধরা পড়ার খবর শুনেছি। এসব মাছ সবসময় জালে ধরা পড়ে না। ভাগ্য সহায় হলে কারও কারও জালে উঠে আসে।’

এ বিভাগের আরো খবর