লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও প্লাবিত আছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো।
ডালিয়া পয়েন্টে শনিবার সকাল ৬টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তবে দুপুর ১২টার দিকে তা কমে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
অপরদিকে ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে সকাল ৬টার দিকে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে তা আরও কমে ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়।
এদিকে পানি কমলেও জেলার পাঁচটি উপজেলার নদীবেষ্টিত গোকুন্ডা, তিস্তা, কালমাটি, খুনিয়াগাছ, মাস্টারপাড়া, হরিণচড়া, মহিষখোচা, গোবর্ধন, রুদ্রেশ্বর, শৈলমারী, বৈরাতি, গড্ডীমারীর মতো এলাকা থেকে পানি সরেনি। এ কারণে দুর্ভোগ কমেনি এসব এলাকার বাসিন্দাদের।
পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সকাল থেকে কিছু কিছু জায়গায় পানি কমতে শুরু করেছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। আমরা বন্যার্তদের জন্য ১১০ টন চাল, শুকনো খাবার ও চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’