চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহাবুল হক ও কল্পনা খাতুন দম্পতির একসঙ্গে জন্ম নেয়া চার মেয়ের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত্যু হয় দুই মাস বয়সী টিয়ার।
পরিবার থেকে জানানো হয়, ঈদুল আজহার পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় টিয়া। কিছুদিন পর সুস্থ হলেও মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ত টিয়া। সুস্থ-অসুস্থতার দোলাচলেই চলছিল চার বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট টিয়ার জীবন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর টিয়া হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা জানান, একসঙ্গে জন্ম নেয়া চার মেয়ে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়ার মধ্যে টিয়া মারা গেছে। জন্মের দুই মাস পর তার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর টিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একসঙ্গে জন্ম নেয়া এই চার শিশুর জন্মের পর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন তাদের সবসময় খোঁজ খবর রেখেছে।’
এ বছরের ৯ মে চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন কল্পনা খাতুন। পরের দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান স্থানীয় ক্লিনিকে শিশুদের দেখতে যান। ওই সময় তিনি দম্পতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে মিষ্টিমুখ করান ও আর্থিক সহায়তা দেন।
চার শিশুর বাবা ও মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক তাদের মূল নামের পাশাপাশি ডাক নাম হিসেবে রাখেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। পাঁচ দিনের মধ্যেই প্রত্যেকের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করেন তিনি। জেলা প্রশাসক নিয়মিত তাদের খোঁজখবরও রাখেন।