মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে বালু বহনকারী সুকানি ও শ্রমিকদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে হররামপুরের বহলাতলী এলাকার বালু ব্যবসায়ী ও লেছড়াগঞ্জ বালুমহলের ইজারাদার আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্ববায়ক ফরিদ মোল্লা ও ধূলশুরা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন।
লিখিত অভিযোগের বর্ণনায় বলা হয়, উপজেলার লেছড়াগঞ্জে পদ্মাপাড়ের বালুমহল থেকে বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছেন আলমগীর। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হরিরামপুরের ধূলশুড়া বাজার এলাকার পদ্মা নদীতে বালুবহনকারী ১০-১২টি বাল্কহেড থামিয়ে সেগুলোর সুকানি ও শ্রমিকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নেতা-কর্মীরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করেন এবং চাঁদা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান।
মারধর ও মেরে ফেলার হুমকির পর নদীতে বাল্কহেড চালানো কমিয়ে দিয়েছে শ্রমিকরা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বালুমহল ইজারাদার মো.আলমগীরকে। ফলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘আগে প্রতিদিন ৪০-৫০টি বাল্কহেড বালু বিক্রি করা হতো। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে নদীতে দৈনিক ২০-৩০টি বাল্কহেড চলাচল করছে। এতে প্রতিদিন লোকসান গুণতে হচ্ছে আমার।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা জানান, তিনি ও তার নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের দিন তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে ব্যস্ত ছিলেন দাবি করেন। ‘মিথ্যা এ অভিযোগের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’