বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ১৩ জুলাই, ২০২৩ ১৭:৩৫

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। সঠিক কাগজ ছাড়া ভূমি নামজারির কোনো কাজ করি না। এতে ক্ষুব্ধ একটি দালাল চক্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব অভিযোগ করেছে।’

গফরগাঁও উপজেলার ১৩ নম্বর দত্তের বাজার ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এক সেবাগ্রহীতাকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ হাজার টাকায় জমির খারিজ হবে না। এভাবে কাজ করলে আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হবে।’ এরপর ওই টাকা তিনি ভূমি মালিককে ফেরত দিয়ে দিতে দেখা যায় ভিডিওতে।

গত বছরের মার্চে এ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাশের উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। পরে তাকে গফরগাঁও উপজেলায় বদলি করা হয়।

মঈন উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সেলিমসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান বদলি হয়ে দত্তের বাজার ইউনিয়নে যোগদান করেন। তার শাস্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে গত বছরের ২ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়।

ওই অভিযোগ তদন্ত করেন সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার জান্নাতুল মাওয়া। তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।’

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, অভিযোগের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সুপারিশ করা আরেকটি অভিযোগ চলতি বছরের ১১ মে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দেন এলাকাবাসী।

২২ মে অভিযোগটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত মিজানুর রহমানকে বদলির জন্য জেলা প্রশাসনে চিঠি পাঠান।

ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ অবস্থা জানা নেই।’

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি এবং রাজস্ব শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান বলেন, 'বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিযোগটি তদন্তের জন্য শিগগির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। সে সঙ্গে আগের তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।' এ ছাড়া ভিডিওটি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। সঠিক কাগজ ছাড়া ভূমি নামজারির কোনো কাজ করি না। এতে ক্ষুব্ধ একটি দালাল চক্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব অভিযোগ করেছে।’

ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই ভিডিওটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমি ওই টাকা ফেরত দিয়েছি, নেইনি।’

এ বিভাগের আরো খবর