বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘রাষ্ট্র মেরামত’: কী আছে বিএনপির ৩১ প্রতিশ্রুতিতে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৬

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা পুরো দেশের জন্য। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলছে। এ রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনগঠন করতে হবে।’ 

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চেয়ে ‘এক দফা, এক দাবি’ ঘোষণার পর দিনই ৩১টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। একে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ বলছে দলটি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এ দফা ঠিক করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা পুরো দেশের জন্য। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গঠন করেছিল, সে রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাদের হাতে নেই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলছে। এ রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনগঠন করতে হবে।’

বিএনপির ৩১টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী একটি নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে একটি নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

পরপর দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও বিশিষ্টজনের মতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ সংশোধন করা হবে।

ইভিএম নয়, সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংস্কার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা হবে।

দেড় দশকে অর্থপাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি দমন আইন সংস্কারের পাশাপাশি পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে দুদকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে ন্যায়পাল।

সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটানো হবে। সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনে নিয়োগ দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে সব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনগুলো পর্যালোচনা করে সেসব রহিত বা সংশোধন করা হবে। এ ছাড়া অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাংবিধানিক সংস্কার করা হবে।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর