‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সম্পৃক্ততা: বিষয়বস্তু, অংশীদার এবং কৌশল’ শিরোনামে আন্তর্জাতিক সেমিনার হয়েছে।
এতে অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সুবিধার বাইরেও প্রভাব রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চীন।
কেআরএফ সেন্টার ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স (সিবিজিএ) বুধবার সিবিজিএ সম্মেলন ও সংলাপকক্ষে ওই আয়োজন করে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের নয়া দিল্লীর সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রগ্রেসের (সিএসইপি) ভারতীয় গবেষক কনস্ট্যান্টিনো জেভিয়ার ও জাবিন টি জ্যাকব।
এতে বাংলাদেশসহ আটটি কেস স্টাডির ওপর ভিত্তি করে ভারতের সিএসইপি পরিচালিত দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সেমিনারের বিষয়বস্তুটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।
বক্তারা শিক্ষা, জনকূটনীতি, প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সুশীল সমাজ, দলীয় রাজনীতি, ধর্ম ও শাসন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার রূপ তুলে ধরেন।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, কয়েক দশকের সীমিত সম্পৃক্ততার পর চীন প্রতিবেশী ভারত ও অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দ্রুত গতিতে গভীর ও বৈচিত্র্যময় করেছে। চীনের লক্ষ্য দুটি দিক বিবেচনায় এগিয়ে চলেছে। তা হচ্ছে, নিজের পক্ষে অনুকূল নীতিগুলোকে উৎসাহিত করা এবং দেশটির মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন সিদ্ধান্তকে মোকাবিলা করা।
অংশগ্রহণকারীরা তাদের বক্তব্যে জোর দিয়ে আরও বলেন, শুধু বাণিজ্য এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সম্পর্কের বাইরেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে চীন।
সেমিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া বর্তমান বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। যেখানে চীন ও ভারত উভয়েরই গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা সর্বোত্তম পন্থা। দক্ষিণ এশিয়ার অনন্য অবস্থানটি চীনের মতো বৃহৎ শক্তিগুলোর ব্যপক তৎপরতা ব্যাখ্যা করার জন্য আরও গভীরভাবে বুঝতে হবে। এ জন্য এ অঞ্চলের জ্ঞানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর বা সংস্থাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আরও মতবিনিময় এবং মিথস্ক্রিয়া হওয়া উচিত।’
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের আবু সালাহ মো. ইউসুফ, এয়ার কমোডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, এম আইনুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান, রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক, মাইনুল আলম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দিন।