মানিকগঞ্জ সদরে মোবাইল চুরির ঘটনায় লিটন মিয়া নামের ১২ বছর বয়সী পথশিশুকে হাত ও পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উপজেলার মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার বিকেলে মানড়া সেতুর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার লিটন মিয়া জেলার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকায় থাকে। সে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পুরাতন বোতল সংগ্রহ করে।
পথশিশু লিটন মিয়া জানায়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় মোবাইল চুরি করে সে। চুরি করে পালানোর সময় শ্রমিকরা তাকে ধরে চড়-থাপ্পর দিয়ে বাঁশের খুটির সঙ্গে হাত-পাঁ বেঁধে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। কয়েক ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার পর কান্নাকাটি করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সে আরও বলে, মা, বাবা না থাকায় পুরাতন বোতল সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করে জীবন চালায়।
নির্মাণাধীন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আবিদ মুনছুর কনস্ট্রাকশনের শ্রমিক বাবু মিয়া জানান, শ্রমিকদের থাকার ঘর থেকে একটি মোবাইলফোন চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিশু লিটনকে আটক করা হয়। এর পর লিটনকে চড়-থাপ্পর দিয়ে চুরির অপরাধে রোদে বেঁধে রাখা হয়। ভবিষ্যতে যাতে চুরি করতে সাহস না পায়, সে জন্য এমনটা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবিদ মুনছুর কনস্ট্রাকশনের সাইড ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান জানান,এর আগেও ওই শিশু শ্রমিকদের টাকা-পয়সা চুরি করেছে। তখন তাকে বকাঝকা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে শাসন করা হয়েছিল। এ কারণে মোবাইল চুরির ঘটনায় তাকে চড়থাপ্পর দিয়ে রোদে বেঁধে রেখেছিল শ্রমিকরা।
তিনি আরও জানান, শিশুটির মা-বাবা ও বাড়িঘরের পরিচয় না থাকায় তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। পরিচয় বা অভিভাবক থাকলে তাদের ডেকে বিচার করা হতো বা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হতো।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আবদুর রউফ সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ যাওয়ার আগেই শিশুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।