জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আসলাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসলাম বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর অন্যতম সহযোগী।
বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
৩৫ বছর বয়সী আসলাম মিয়া সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বাত্তি এলাকার ভূলো মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে গত ৩ জুলাই নয়ন মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে আসলাম মিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।’
নাদিম হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেপ্তার হলো বলে এসময় জানান ওসি সোহেল রানা।
তবে ১৭ জন গ্রেপ্তার হলেও মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে দাবি করেছেন নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। তিনি জানান, মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করা ২২ জন আসামির মধ্যে মাত্র ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
গত ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামালপুরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান সাংবাদিক নাদিম।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন। পাশাপাশি তিনি জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।