চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী দখল রুখতে তীর ঘেঁষে পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন।
কর্ণফুলীর তীরবর্তী ফিশারিঘাট ও অভয়মিত্র ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে প্রস্তাবিত এ পার্কের নাম দেয়া হয়েছে ‘কর্ণফুলী আউটলুক’। পার্কে পর্যটকদের হাঁটার পথ, টেনিস কোর্ট, ফুটবল মাঠ, ভলিবল মাঠ, ক্লাব হাউজ, ফুড কোর্ট, পিকনিক স্পট, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।
এ ছাড়া কর্ণফুলীর শত বছরের ঐতিহ্য সাম্পানে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। সাম্পানে উঠার জন্য থাকবে আলাদা ডেকও। পার্কে তৈরি হবে বোট-মিউজিয়ামও।
বুধবার এ পার্কের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম।
পরিদর্শনকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের খাস জমিতে কর্ণফুলী নদী সুরক্ষিত রেখে নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগের জন্য এবং শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সবুজ পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে।’
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আরএস জরিপ থেকে শুরু করে হাল বিএস জরিপে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী খাস জমিতে অবৈধ দখল প্রতিরোধে পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে। উন্মুক্ত গ্রিন জোন ও পার্কটি নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হবে।’
প্রস্তাবিত ‘কর্ণফুলী আউটলুক’ পার্কের বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কর্ণফুলীর শহরাংশের তীরের প্রায় ১৪ একর জমিতে পার্কটি তৈরি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদীর তীরে স্থায়ীভাবে পার্ক তৈরি হলে এক দিকে যেমন নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের চাহিদা পূরণ হবে, অন্যদিকে দখলের হাত থেকে বাঁচবে নদী, কমবে দূষণও। আর কর্ণফুলী বাঁচলে বাঁচবে চট্টগ্রাম, বাঁচবে চট্টগ্রামবাসী।’