দেশের বৃহত্তম দুই রাজনৈতিক দলের একইদিনে সমাবেশকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজধানী ঢাকা। দুই দলের সমাবেশস্থলের দূরত্ব বেশি নয়, মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধীদল বিএনপি। দুই দলের সমাবেশ ঘিরে যনজট ও পরিবহন সংকটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন নিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা অনেক পরে শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে পল্টনমুখী হতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। এমনকি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও সমাবেশে যোগ দিচ্ছে দলটির কর্মী-সমর্থকরা।
তাদের স্লোগানে জমে উঠেছে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা।
বিএনপির এ সমাবেশ থেকে সরকার পতন আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতারা। সেই সূত্র ধরেই দলে দলে সমাবেশে যোগ দিচ্ছে দলটির সমর্থকরা।
এ কারণে সমাবেশস্থলের আশপাশে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে অফিসগামী ও অন্যান্য কাজে ঘর ছেড়ে বের হওয়া মানুষজন।
মৎস্যভবন, কমলাপুর, পুরানা পল্টন, কাকরাইল, শহজাহানপুর এলাকায় প্রধান সড়কগুলোতে মিছিলের কারণেও সৃষ্টি হয় যানজট।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলে দলে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকলে আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস।
এদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে এ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থকরা।
বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, শেরাটন হোটেল সংলগ্ন ভিআইপি রোড, কাকরাইল মোড়ে সিগন্যাল ও জ্যামে দীর্ঘক্ষণ ব্যক্তিগত গাড়ি, সিনএজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাস আটকে থাকতে দেখা গেছে।
এসময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। বাস, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল থেকে নেমে পথচারীদেরও হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
দুই দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে তুলনামূলক কম যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। যানজট বেশি হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই অনেক বাস ঘুরে ফিরে যাচ্ছে।