পদ্মার ভাঙনে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে চারটি গ্রামের প্রায় একশ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালাচ্ছে।
বছরের পর বছর চলতে থাকা পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে স্থানীয়দের জমিজমা ও ঘরবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
পদ্মাবেষ্টিত চরাঞ্চল নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউসুফ মাতবরের ডাঙ্গী, শুকুর আলী মৃধার ডাঙ্গী, ঈমান আলী মাতবরের ডাঙ্গী ও উসমান মাতবরের ডাঙ্গীতে ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে।
ভিটেমাটি থেকে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ফলে মানুষজন নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।
হুমকির মুখে রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ প্রায় তিনশ' একর ফসলি জমি।
জহিরুল হক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি খাটাখাটনি করে ২০ বিঘা জমি রেখেছিলাম। চোখের সামনে সব নদীতে চলে গেছে। এখন এই বয়সে আধা শতাংশ জমি কেনারও সামর্থ্য নেই। আমরা আশা করছি, সরকার আমাদের জমিজমা রক্ষায় একটা স্থায়ী বাঁধ করে দিবে।’
স্থানীয় কৃষক আলতাফ মিয়া জানান, জমিতে আউশ ধান, পাট ও তিল লাগিয়েছিলেন। সবই নদীগর্ভে চলে গেছে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘চারটি গ্রামে প্রায় একশ' একর জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে তাদের বাড়িঘর ভেঙে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। অনেকের যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। নদী ভাঙনে অসহায় হয়ে পড়া প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার প্রশাসনের উদ্যোগের অপেক্ষা করছে। তাদের প্রত্যাশা, নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’
তিনি জানান, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, বর্ষার পানি ঘূর্ণনের ফলে এখানে বেশকিছু স্থানে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।