সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদে দান করা একটি কাঁঠালের নিলাম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চারজন প্রাণ হারালেন।
নতুন করে মারা যাওয়া ৬০ বছর বয়সী মুখলেছুর রহমান হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার সকালে আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ওই দিন রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এতে ৪০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত অপর দুজন হলেন হাসনাবাদ গ্রামের ৫০ বছর বয়সী নুরুল হক, ৫৫ বছর বয়সী বাবুল মিয়া ও ৪৫ বছর বয়সী শাহজাহান মিয়া।
ওই ঘটনা এ পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসনাবাদ গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার পর হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে এক ব্যক্তি একটি কাঁঠাল দান করেন। গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ওই কাঁঠালটি নিলামে তোলা হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সোমবার সকালে এর জেরে সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত সুজন বলেন, ‘গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। রোববার রাতে এবং সোমবার ভোরে হাসনাবাদ গ্রামে গিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে কথা বলেছি। উভয়পক্ষের লোকজন আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, কোনো পক্ষই মারামরিতে যাবেন না। কিন্তু আমি চলে আসার পর শুনতে পাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।’
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘আত্মীয়রা লাশ সকালে গ্রামে এনে আমাদের জানিয়েছে আরও একজন মারা গেছেন। তবে ওই লোক এ ঘটনায় মারা গেছেন কি না সেটা তদন্তের পরে বলা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোনো পক্ষ এখনও অভিযোগ দেয়নি। তবে সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’