মেহেরপুরে পৌরসভার কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহামন রিপন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফরিদপুর থেকে সোমবার রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ৪৫ বছর বয়সী আসামিকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসুদ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এক সময় ত্রাসের রাজত্ব কামেয় করেন। তিনি দীর্ঘদিন ফেরারি ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। মাসুদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, মানুষ হত্যা ও অন্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে পুলিশের খাতায়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কাউন্সিলর রিপন হত্যা মামলা এবং অন্য একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী সোমবার রাতে ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।
২০১১ সালের ১ এপ্রিল রাতে নিজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন মেহেরপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মারা যান।
এ ঘটনার নিহতের বাবা বাদী হয়ে তৎকালীন পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দেয়া হয়। এতে বাদীপক্ষ নারাজী আবেদন করলে মামলাটি আদালতের আদেশে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
পুলিশ তদন্তে উঠে আসা চার আসামির বিচার কাজ শেষে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত আকালি মিয়া ও আব্দুল হামিদকে জেলা কারাগারে পাঠায় আদালত। বাকি দুই আসামি গাংনীর সন্ত্রাসী মাসুদ রানা ও লাল্টু মিয়া আগে থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন।