লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদী পারাপারের সময় নৌকাডুবির ঘটনায় ৩০ ঘণ্টা পর নিখোঁজ তৃতীয় ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হয় রোববার। আজ (সোমবার) আহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
রোববার সকালে উপজেলার ধুবনি গ্রামের তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটলে ওই তিনজন নিখোঁজ হন।
এ ঘটনার তদন্ত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএ মমিনকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা ধুবনী এলকায় তিস্তা নদীতে ৫০ বছর বয়সী আহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
এর আগে রোববার রাত ৮টায় উপজেলার ধুবনি এলাকার ভাটিতে ৫০ বছর বয়সী ফজলুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। ওইদিন বিকেলে আরেক নিখোঁজ মো. শফিকুলের মরদেহ উদ্ধার হলে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নৌকাডুবিতে নিহতরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত দমেজ উদ্দিনের ছেলে ৫০ বছর বয়সী ফজলুল হক, মৃত জুলাই শেখের ছেলে ৫০ বছর বয়সী আহিদুল ও দক্ষিণ গড্ডিমরাী এলাকার মৃত খাদু শেখের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী শফিকুল।
স্থানীয়রা জানায়, সকালের দিকে ধুবনী এলাকার ১৭ জন কৃষক নদী পার হয়ে চরে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে নৌকা উল্টে যায়। এ সময় ১৪ জন তীরে উঠে আসতে পারলেও ৩ জন নিখোঁজ হন। পরে তিনজনেরই মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা টিএ মমিন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছি। ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কী কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে, তা পরে জানানো হবে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন, উপজেলা ভূমি সহকারী লোকমান হোসেন প্রমুখ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুসা বলেন,‘ নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দাফনও সম্পন্ন করা হয়েছে।’