বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ লাখে শিক্ষা হয়নি, এবার জরিমানা আড়াই কোটি টাকা

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১০ জুলাই, ২০২৩ ২৩:১৬

আগেও বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। সবশেষ ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নির্গমনের দায়ে ২০২২ সালের শেষের দিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা গুনেছিল চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইপিটি)। কিন্তু তাতে শিক্ষা হয়নি। একই অনিয়মের দায়ে এবার আড়াই কোটি টাকা জরিমানার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়। কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট লিমিটেড (সিডব্লিউটিপিএল) নামের প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) থেকে নির্গত তরল বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অধিদপ্তরের গবেষণাগারে সেই নমুনা পরীক্ষা করে পরিবেশ দূষণকারী নানা উপাদান গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানকে শুনানির জন্য নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আগেও বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। সবশেষ ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

এরপর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর পরিশোধনাগার স্থাপন করে পরিবেশ অধিদপ্তরে তার নকশা দাখিল করা, নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড গাইডলাইন ফর স্লাজ ম্যানেজমেন্ট অনুসারে পরিশোধাগার ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু বার বার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও পরিবেশ দূষণ রোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এমনকি শুনানি চলাকালেও সিইটিপি পরিদর্শন করে ইনলেট থেকে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি উন্মুক্ত পরিবেশে নির্গত করার প্রমাণ পান পরিবেশ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, ‘শুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের একজন রসায়নবিদ অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি নির্গমনের ভিডিও ধারণ করে পাঠান। আমরা সেই ভিডিও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের দেখিয়েছি। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।’

তিনি বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে৷ এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে তিন মাস সময় দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর