বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণতন্ত্র সূচকে অগ্রগতি দেশে গণতন্ত্র সংহত হওয়ার প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ জুলাই, ২০২৩ ১৭:৫১

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিরোধী দল বিশেষ করে মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতারা তিন বেলা কথা বলেন আর বলেন যে তাদের কথা বলার অধিকার নেই। তাদের এই হাঁকডাক এবং ‘গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন’ মন্তব্যের মধ্যেই বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে। সুখী দেশ সূচকে এগিয়েছে ৭ ধাপ।”

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এবং সুখী দেশের সূচকে আমাদের সাত ধাপ অগ্রগতি প্রমাণ করে যে দেশে গণতন্ত্র সংহত হয়েছে, সুশাসন রয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের ৬৫ জনের মাঝে ৬৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ধারণাটি জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। তিনিই প্রথম জাতীয় প্রেসক্লাবে ঘোষণা দেন যে মাঝে-মধ্যে সহায়তা দেয়ার চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো উত্তম। তার সেই চিন্তা থেকেই প্রথমে কল্যাণ তহবিল ও পরে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজকে সত্যিকার অর্থে দেশে যেসব সাংবাদিক কষ্টে থাকেন, দুর্ঘটনায় পতিত হন কিংবা নিহত হন, তাদের ও পরিবারের জন্য একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও’র যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালে ছিলো ১০টি টেলিভিশন, এখন ৩৫টি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আরও ৭-৮টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন ৪শ’ দৈনিক পত্রিকা ছিলো। এখন রয়েছে সাড়ে ১২শ’ দৈনিক পত্রিকা।

‘সম্প্রচার হচ্ছে বেসরকারি এফএম ও কমিউনিটি রেডিও। প্রকাশিত হয় হাজার হাজার অনলাইন পত্রিকা। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গণমাধ্যম-বান্ধব নীতির কারণেই গণমাধ্যমের এই যুগান্তকারী বিকাশ সম্ভব হয়েছে। গণমাধ্যমের এই বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রেরও বিকাশ ঘটেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিরোধী দল বিশেষ করে মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতারা তিন বেলা কথা বলেন আর বলেন যে তাদের কথা বলার অধিকার নেই। তাদের এই হাঁকডাক এবং ‘গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন’ মন্তব্যের মধ্যেই বাংলাদেশ গত বছর গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।”

সুখী দেশ সূচকে বাংলাদেশ ৭ ধাপ এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুখী সূচকে ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আমাদের অবস্থান এখন ৯৪তম। ভারতের অবস্থান ১৩৬তম, পাকিস্তানের ১২১তম, শ্রীলংকার অবস্থান ১২৭তম। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশাসনের প্রমাণ, গণতন্ত্রের অভিযাত্রার প্রমাণ।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আমাদের সরকারের নীতি হলো- গণমাধ্যম অবাধ ও স্বাধীনভাবে কাজ করবে। গণমাধ্যমের কাছে আমার বিনীত নিবেদন- স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতার দিকেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র সংহত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। দেশ পৌঁছে যাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায়।’

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭৪২ জন সাংবাদিকের অনুকূলে ট্রাস্ট থেকে ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২ হাজার ২৯৮ জনকে প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বিশেষ সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর