লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন নৌকার এক যাত্রী।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মোহাম্মদ মুসা সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
নদী থেকে উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমরাী এলাকার শফিকুল ইসলাম ও ফজলুল হক। তাদের মধ্যে শফিকুলের মরদেহ রোববার বিকেলে এবং ফজলুলের মরদেহ রাতে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ ঘটনায় একই গ্রামের জুলাই শেখের ছেলে আহিদুলকে এখনও খুঁজে পায়নি ফায়ার সার্ভিস, তবে মরদেহ উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মনির হোসেন।
নিখোঁজ আহিদুলের ভাই আমিনুর রহমান জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে ধুবনী এলাকার কৃষক ও শ্রমিকসহ ১৭ জন তিস্তা নদীর ওপারে কাজ করতে যাওয়ার সময় একটি নৌকায় ওঠেন। নদীর মাঝখানে নৌকাটি ডুবে যায়। ওই সময় সবাই সাঁতার কেটে কিনারায় উঠতে পারলেও তার ভাইসহ তিনজন পানিতে ডুবে যান।
আমিনুর আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোজাঁখুঁজির পর বিকেলে একজন ও রাতে আরও একজনের মরদেহ পেলেও আহিদুলের সন্ধান পায়নি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও একজনকে খুঁজছি আমরা।’
এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম।’
ডিসি জানান, তিনি জানতে পেরেছেন, পাঁচ-ছয়জনকে বহন করার মতো নৌকায় ১৭ যাত্রী উঠেছিলেন। তিনি জেলা পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করার পাশাপাশি ঘাটের মাঝি ও ইজারাদারদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন।
নৌকাডুবিতে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি।
নিখোঁজ ও প্রাণ হারানো দুজনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।