পাবনার আতাইকুলা থানার চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম হত্যা মামলায় আটজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়।
রোববার বিকেলে পাবনা জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজের বিচারক বেগম শামীম আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাইদুল ও সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাবনার আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামের মোতাহার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, আলাই, আক্কাছ আলী ফকির, শাহিন, রমজান আলী প্রামানিক, মো. সাইফুল ইসলাম ও আতাউর রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, পাবনার আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামের সুরুজ আলীর বাবা আবুল কালাম তার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে অলিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ হন।
এ জন্য দন্ডপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা দাবি করেন। আবুল কালাম ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করে বাকি ৬০ হাজার টাকা জমি উদ্ধারের পর দেয়া হবে বলে জানান। এতে তারা ক্ষুব্ধ হন এবং কালামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৬ সালের ২৪ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালামকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্রীকোল পশ্চিমপাড়ায় কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে আসেন এবং এক কোপে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন।
এ ব্যাপারে আবুল কালামের ছেলে সুরুজ আলী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাক্ষী প্রমাণ শেষে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেয়া হয়। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন শাজাহান আলী খান।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আব্দুস সামাদ খান রতন বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আদালতের এই রায়ে খুশি।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী শাজাহান আলী খান বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে আসামিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। সেখানে ন্যায়বিচার পাবার আশা করি।’