বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসার ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সচিবালয়ে রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডি আমাদের অধীনে, কিন্তু এখনও আমরা কার্যক্রম শুরু করিনি। এখনও এই কার্যক্রম আমাদের নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে।
‘আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসবে। তখন থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারব।’
বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
সাউথ আফ্রিকাভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস টেকক্রাঞ্চকে জানান, গত ২৭ জুন দুর্ঘটনাক্রমে ফাঁস হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।
মার্কোপোলোস আরও জানান, ফাঁস হওয়ার বিষয়টি জানার পরপরই বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম তথা সিইআরটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
এ গবেষকের ভাষ্য, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ বাংলাদেশির তথ্য ফাঁস হয়েছে।
তথ্য ফাঁসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও শুনছি। বিস্তারিত আমাদের জানতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি কী ঘটেছে, কতখানি ফাঁস হয়েছে, আমরা অবশ্যই দেখব। যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমরা কখনও কাউকে ছাড় দিই না, এটা আপনারা দেখেছেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।