বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিএনপির সরকার পতন হুমকির মধ্যেই ১৪ বছর ক্ষমতায় আছি’

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ৮ জুলাই, ২০২৩ ২০:৪৯

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর একদিনও সময় দেবেন না। তারা যতই সময় দেবেন না বলেন, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়।’

বিএনপির সরকার পতনের হুমকির মধ্যেই আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সরকারের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিন এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর একদিনও সময় দেবেন না। এভাবে সময় না দেয়ার মধ্যেই আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। তারা যতই সময় দেবেন না বলেন, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও মির্জা ফখরুল সাহেবদের এদেশে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতির সুযোগ জনগণ আর দেবে না। এদেশে গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করে অপরাজনীতি করাও আর তাদের পক্ষে সম্ভবপর হবে না।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ কাদের সঙ্গে আছে তা পরখ করে দেখুন।

‘ইনশাআল্লাহ, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এদেশের মানুষ আবারও ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশের চিত্রের সঙ্গে ১৫ বছর আগের চিত্রের পার্থক্য রয়েছে। ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের বাজেট ছিলো ১৭৩ কোটি টাকা। এবার আমাদের বাজেট হলো ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।

‘গ্রাম হবে শহর- এই ছিলো গত নির্বাচনে আমাদের স্লোগান। এখন গ্রামে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। এখন দেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা হলেন সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে পৌঁছানোর আসল মাইক। মানুষ আপনাদের কথা শোনে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আপনারা সেতু বন্ধন রচনা করেন। আজকে যে দেশটি পরিবর্তন হয়ে গেছে এই বার্তা আপনাদেরকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকারকে জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী করেছেন বলেই চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও শক্তিশালী হয়েছেন। গ্রাম-আদালত এখন আইন দ্বারা বিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান, যা আগে ছিলো না।’

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত সাবেক-বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলররা অংশগ্রহণ করেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, মোকারম হোসেন, মহিলা মেম্বার জেরিন আকতার, ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ আজাদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর