বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলি প্রযুক্তি দিয়ে বিরোধীদের নজরদারি করছে সরকার: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ জুলাই, ২০২৩ ১৮:১৬

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) বিশ্বাস করে আগেও সংলাপ করেছি। কিন্তু প্রতারিত হয়েছি। এখন প্রশ্নই আসে না। এদের সঙ্গে সমঝোতা করে কোনো লাভ হবে না। আবারও তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবে।’

ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি এনে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি)র ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি পেগাসাস এনে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করছে। বিরোধী দলকে দমনের জন্য এবং বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে তারা (সরকার) এটা করছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা হতে পারে না।

‘ফোনে কথাবার্তা সবকিছুই এখন সরকারের নজরদারিতে। পকেটের টেলিফোনটাই এখন বড় শত্রু।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) বিশ্বাস করে আগেও সংলাপ করেছি, প্রতারিত হয়েছি। এখন প্রশ্নই আসে না। এদের সঙ্গে সমঝোতা করে কোনো লাভ হবে না। আবারও তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্যাংশন, ভিসা নীতিসহ নানা কারণে বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি এখন তলানিতে। সরকার দেশকে রোল মডেল নয়, গোল মডেল বানিয়েছে। তারা দেশকে ফতুর করে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ আবারও বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন আয়োজনের পথে হাঁটছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও জনগণকে প্রতারিত করে ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা। তবে তাদের সেই আশা এবার পূরণ হবে না। এবার প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে গেলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে দেশের জনগণ ভোটের অধিকার পেলে তাদের রাজনৈতিক পরাজয় হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা আজ ঐক্যবদ্ধ। সাংবিধানিকভাবে এই সরকার অবৈধ। তাদের পদত্যাগ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের লক্ষ্যই দেশের মানুষকে শোষণ করা। আমরা শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের মাঠ থেকে বিরোধী দলগুলোকে সরিয়ে দিতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে পুরনো চক্রান্তে লিপ্ত সরকার। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির চাপ দেয়া হচ্ছে।

‘সরকার নতুন নতুন প্লট তৈরি করে জনগণকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। আবারও জনগণকে প্রতারিত করে ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা। কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। স্বাধীনতার পরই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সড়কে নৈরাজ্য চলছে, অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের বডি ক্যামেস্ট্রিতে গণতন্ত্র নেই, আছে শুধু সন্ত্রাস আর চুরি।। রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ লুটপাট করছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘ভয়াবহ লুটপাটের কারণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই আওয়ামী লীগের নাম দিয়েছিলেন নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি। এরা এখনও ভয়াবহ লুটপাট করছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।’

এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর