লালমনিরহাটের মোগলহাট সীমান্তে রফিকুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত রফিকুলের সঙ্গীরা নাকি ভারতীয়রা জড়িত, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুমারটারী এলাকায় ভারতীয় ৯২৭ নম্বর পিলারের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, রফিকুল ও তার ভাই রবিউল নিজেদের পাটক্ষেত দেখতে সীমান্তবর্তী কুমারটারী এলাকায় যান। এসময় পার্শ্ববর্তী ভারতের নগরটারী গ্রামের লোকজন তাদের আটক করে মারপিট করে। তারা রফিকুলকে গুলি হত্যা করে ও রবিউলকে গুরুতর আহত অবস্থায় জাড়িধলা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে রফিকুলের পরিবার দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ আদিতমারী থানায় নিয়ে যায়।
৪০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম পূর্ব দীঘলটারী এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, “মোগলহাট সীমান্তের কুমারটারীতে রফিকুল ইসলামের নিহতের ঘটনায় বিএসএফের হাত নেই।
“আজ দুপুর ১টার দিকে রফিকুলের দুই বন্ধু সোহেল ও রবিউল বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের পাটক্ষেতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে গুলির শব্দ শুনতে পান পার্শ্ববর্তী এক বৃদ্ধ। পরে পাটক্ষেত থেকে ওই দুই বন্ধু বের হয়ে ওই বৃদ্ধকে বলেন, ‘রফিকুলকে ভারতীয় লোকজন গুলি করেছে। একে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।’ পরে তারা ভেলায় করে লাশ নিয়ে আসেন।’
তিনি বলেন, ‘রফিকুলকে ভারতীয় লোকজনই যদি মারে, তাহলে সোহেল ও রবিউল বাঁচল কীভাবে? এ হত্যার সঙ্গে তাদের দু’জনের হাত থাকতে পারে।
‘আবার আগামীকাল ভারতের পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সীমান্তে হত্যা চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। আমরা ওই দু’জনকেও খুঁজছি।’
তাছাড়া এটি পুলিশের কাজ; তারাই ওদের খুঁজে সঠিক তথ্য বের করবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সীমান্ত থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’