সরকার পতন আন্দোলন চলমান আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সেটাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। আমরা প্রায় ৩৬টি দল একমত হয়েছি।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবৈধভাবে জোর করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এই ফ্যাসিবাদী, লুটেরা, গণবিরোধী সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। তারা জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, লেখার অধিকার- সমস্ত কিছু কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা প্রায় ৩৬টি দল একমত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলমান আছে, সেটাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। যুগপৎ আন্দোলন ও সামনে কী ধরনের কর্মসূচি আসবে সে বিষয়ে আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সব দলের দাবিগুলো নিয়ে কীভাবে এক দফার আন্দোলনরূপে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এসময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার নৈরাজ্য, লুটেরা সৃষ্টি করেছে। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এদেশের জনগণ তাই মনে করে, এ সরকারকে আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় রাখা যাবে না।
‘আমরা বলেছি, আগামী নির্বাচন নির্দিষ্ট সরকারের অধীনে হতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না। সে লক্ষ্যে আমরা অচিরেই এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছি।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, মহাসচিব মো. আবদুল কাদের।