মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পরকীয়া প্রেমের বলি ভ্যানচালক হাসেম আলী হত্যাকাণ্ডে দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে মামলার প্রধান আসামি প্রেমিক ওসমান মিয়া গ্রেপ্তার হন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের রুহুল্লী এলাকার মো. আফাজ উদ্দিনের ছেলে ৩২ বছর বয়সী শহীদুল ইসলাম ও একই ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলিয়া এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে ৪০ বছর বয়সী মো. জসিম উদ্দিন।
মামলার এজহারপত্রে থেকে জানা যায়, ভ্যানচালক হাসেম আলীর স্ত্রী সুফিয়া আক্তারের সাথে বিয়েবহির্ভুক্ত সম্পর্ক ছিল ওসমান মিয়ার। সুফিয়াকে নিজের করে পেতে ২৩ জুন রাতে হাসেম আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন প্রেমিক ওসমান মিয়া এবং ভাড়াটে খুনি শহীদুল ইসলাম ও মো.জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার পলাতক।
মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। থানা পুলিশের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে।’
এর আগে হত্যা মামলার মূল আসামি প্রেমিক ওসমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মোশাররফ হোসেন।
ভ্যানচালক হাসেম আলীকে হত্যা করতে প্রেমিক ওসমান মিয়া ২০ হাজার টাকায় শহিদুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিনকে ভাড়া করেন বলেও জানান তিনি।