বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাজিপুর স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পুরো এলাকা

  • প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ   
  • ৭ জুলাই, ২০২৩ ১৭:৪৪

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ধস রোধে সকাল থেকে প্রায় ৫ হাজার বালু বোঝাই জিও ব্যাগ এবং ১২ শ’ কংক্রিট ব্লক ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর মেঘাই নৌকা ঘাট এলাকায় স্পার বাঁধের মাথায় ৩০ মিটার ধসে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে পর্যটন কেন্দ্র, মডেল মসজিদ, থানা, খাদ্য গুদামসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়বে

শুক্রবার সকালে যমুনায় প্রবল স্রোতের কারণে ১ নম্বর সলিড স্পারে এই ভাঙন বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সময়ের সাথে বাড়ছে এর বিস্তৃতি।

১৯৯৭ সালে কাজ শুরু করে ২০০১ সালে কাজিপুর মেঘাই এলাকা রক্ষায় এই স্পার বাঁধটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। চার দফা নদী ভাঙনে বাঁধের ৭৫ ভাগ বিলীন হয়েছে ৫ বছর আগেই। বাকি অংশটুকু রক্ষা করার জন্য সলিড ঢালাই করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার সকালে সেই স্পারের ৩০ মিটার ধসে যাওয়ার পর বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব বাঁধ ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যমুনায় কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রবল স্রোত ছিল। শুক্রবার সকালে হঠাৎ মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়। আর মুহূর্তেই স্পারের প্রায় ৩০ মিটার নদীগর্ভে চলে যায়।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, ‘১৯৯৭ সালে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে কাজিপুর উপজেলাকে রক্ষায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার সলিড স্পার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১২ ও ২০১৩ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যায়। পরে স্পারের মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়েছিল। সেই অংশের ৩০ মিটার আজ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে কাজিপুর থানা, খাদ্য গুদাম, রেজিস্ট্রি অফিস, সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান।’

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ধস রোধে সকাল থেকে প্রায় ৫ হাজার বালু বোঝাই জিও ব্যাগ এবং ১২ শ’ কংক্রিট ব্লক ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’

পরিদর্শনকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, নদী তীর রক্ষার মূল প্রকল্পের বাইরের এ অংশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর