বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু হয়ে ভারত পর্যন্ত যাবে রেল, আশা চিফ হুইপের

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৭ জুলাই, ২০২৩ ১৬:৫০

চিফ হুইপ বলেন, ‘আমরা রাস্তা পাব, ব্রীজ পাব ভেবেছি, কিন্তু রেল লাইন পাব- এটা আমরা কখনও ভাবতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের রেল সংযোগ পাওয়ার দাবি ছিল না। না চাওয়ার পরও তিনি আমাদের জন্য রেল লাইন করে দিয়েছেন।’

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ একদিন মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর এমনকি ভারতের সঙ্গেও সংযুক্ত হবে। ভারতের সঙ্গে সংযোগ হওয়ার কারণে আপনারা নিজের ঘরের সামনে থেকে রেলে চড়ে ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন। চিকিৎসা, লেখাপড়ার জন্য আরও সুযোগ আমাদের দেশের মানুষ পাবে। সেই আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ব্যাপক উন্নতি করছে।

শুক্রবার দুপু‌রে মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়ার বাচামারা নদীর উপর হাতির ঝিলের আদলে নির্মিত দাদা ভাই সেতু উদ্বোধন শেষে স্থানীয়দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিফ হুইপ এসব কথা বলেন।

এর আগে চিফ হুইপ বাহাদুরপুর এলাকায় মেসার্স এ এইচ কে ফিলিং স্টেশন উদ্বোধন করেন। পরে জুমার নামাজ আদায় শেষে দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তিনি।

চিফ হুইপ বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু। স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পদ্মা নদীর পাড়ের মানুষ এই সড়ক দাবি করেছিল। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু এ সড়কের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে এ সড়ক ও পদ্মা সেতু অনেক আগেই আমরা পেতাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে ও দেশে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের সেতু করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকার কারণে কত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের সকলের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

‘আমরা রাস্তা পাব, ব্রীজ পাব ভেবেছি, কিন্তু রেল লাইন পাব- এটা আমরা কখনও ভাবতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের রেল সংযোগ পাওয়ার দাবি ছিল না। না চাওয়ার পরও তিনি আমাদের জন্য রেল লাইন করে দিয়েছেন। যারা ঢাকায় চাকরি করেন, ব্যবসা করেন, তারা কিন্তু এখান বাড়িতে এসে থাকতে পারবে।’

দাদাভাই সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৪৫ মিটার, প্রস্থ ৭.৩ মিটার। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় সাড়ে ২৯ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী খানের সভাপতিত্বে এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি বাহাদুরপুর মঞ্জিলের গদিনশীন পীর হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ্র চন্দ, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ. লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাজাহান মোল্লা, উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রেজাউল করিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর