বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়কের ঘোষণা ছাড়া সংলাপ নয়: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ জুলাই, ২০২৩ ২০:২৯

বিএনপি নির্বাচনে এলে সংলাপ হবে- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগেই বলেছি যে আমরা কোনো ফরমেটেই সংলাপে যেতে চাই না। সরকারকে সবার আগে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। আর সে ঘোষণা দিতে হবে পদত্যাগ করে। এছাড়া কোনো সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।’

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষণা ছাড়া ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন। এর আগে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়। বৈঠকে চলমান আন্দোলনে চূড়ান্ত পর্যায়ের কর্মসূচির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন যে বিএনপি নির্বাচনে এলে সংলাপ হবে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি তো আগেই বলেছি যে আমরা কোনো ফরমেটেই সংলাপে যেতে চাই না। সরকারকে সবার আগে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। আর পদত্যাগ করেই সে ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া কোনো সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।’

নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য উনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করতে পারেন না? তাহলে সব মানুষ খুশি হয়। উনি পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন আর বলবেন সব ত্যাগ স্বীকার করব, এটা ঠিক নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচন এ দেশের জন্য, জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে জাতির অস্তিত্ব থাকবে কি থাকবে না, জাতির স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না, জাতি একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র তৈরি করতে পারবে কি পারবে না।

‘এসব কারণে আমরা পরিষ্কার করে বলছি যে, এই নির্বাচনটা অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ওনারা বার বার সংবিধানের কথা বলেন। সংবিধান তারাই কেটে-ছেঁটে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছেন যে ওটার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশে বড় বড় উদাহরণ আছে যে কনসেনসাস অফ দ্য পিপলস, দলগুলোর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এ দেশে দুই-তিনবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা নির্বাচনে গেছি এবং সরকার গঠন হয়েছে। সেটার জন্য উনি (প্রধানমন্ত্রী) ত্যাগ স্বীকার করতে চান। তাহলে উনি ওই ত্যাগটা স্বীকার করে ব্যবস্থা নিন।’

বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম খান, ন্যাপের আজহারুল ইসলাম, জাস্টিস পার্টির সৈয়দ জাবেদ মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু বৈঠকে অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর