সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে পাহাড় দখল রোধে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে বন্দর নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় দখল করে তৈরি করা পাঁচশ’ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আকবরশাহ থানার ফয়’স লেক বেলতলীঘোনা এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং কাট্টলি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চট্টগ্রামের পাহাড় রক্ষায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) নামের একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। এই পিটিশিনের রায়ে জেলার বায়েজিদ, আকবরশাহ, খুলশী থানা এলাকা, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর-আলীনগর এলাকা এবং অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় দখল করে তৈরি স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়।
রায়ের নির্দেশ বাস্তবায়নে অভিযানটি পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। এর আগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম সভায় পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উচ্ছেদ অভিযানকালে পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনায় বসবাসকারীদের সতর্ক করে মাইকিং করে প্রশাসন। ছবি: নিউজবাংলা
এ বিষয়ে মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের প্রথম দিনে ফয়’স লেকের পাশে লট-৯ পাহাড়তলী মৌজার ৮ একর পাহাড়ি জায়গা থেকে প্রায় পাঁচশ’ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
‘উচ্ছেদের পর স্থানটি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য পিলার ও কাঁটাতারের বেষ্টনী দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেলতলীঘোনার উত্তর পাহাড়তলী মৌজার আরও প্রায় তিন একর পাহাড়ি খাস জমি দখল করে নির্মিত ঘরগুলোর মালামাল অপসারণ করা হয়েছে। সেখানে ৫০টির মতো স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
‘চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ থানাসহ অন্যান্য পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসার, পরিবেশ অধিদপ্তর, পিডিবি, ওয়াসা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সহযোগিতা করে বলে জানান তিনি।