বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মশার খবর দিলে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাবে কর্মী: মেয়র তাপস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ জুলাই, ২০২৩ ১৯:১১

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আমাদের সহযোগিতা করুন। পানি কোথাও জমতে দেবেন না। পানির উৎস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত হতে পারব।’

এডিস মশার প্রজননস্থল কিংবা লার্ভা পাওয়া যেতে পারে এমন স্থান ও স্থাপনার তথ্য দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মশা সংক্রান্ত খবর দিলে ১৫ মিনিটেই করপোরেশনের মশককর্মী সংশ্লিষ্ট স্থানে পৌঁছে মশার লার্ভা ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল সংলগ্ন হাতিরঝিল জল নিষ্কাশন যন্ত্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, আবারও ঢাকাবাসীকে বিনীত অনুরোধ করছি, আপনারা যেখানে মনে করবেন যে লার্ভা পাওয়া যেতে পারে বা আশঙ্কা করবেন যে পানি জমে আছে, তাই লার্ভা হতে পারে, সেখানকার বিষয়ে আমাদেরকে জানান। জানানো মাত্রই ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের মশককর্মী মশক সুপারভাইজরসহ গিয়ে সেই লার্ভা ধ্বংস করে, পানির আধার বিনষ্ট করে সেই জায়গা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিতে পারবে।

‘আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আমাদের সহযোগিতা করুন। পানি কোথাও জমতে দেবেন না। পানির উৎস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত হতে পারব।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু আগেই চলে এসেছে। যে সময় তীব্র দাবদাহ ছিল, সে সময়ও ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি। সে বিষয়গুলো আমরা আমলে নিচ্ছি- আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করছি। ২০২১ সালে আমরা দুই মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। সেটাকে বৃদ্ধি করে এখন আমরা চার মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। কার্যক্রমও বৃদ্ধি করছি। এমন কেউ বলতে পারবেনা- কোনো ঠিকানা, কোনো রোগী বা কোনো স্থাপনায় লার্ভার তথ্য দেয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের মশককর্মী যায়নি।’

‘ডেঙ্গ নির্মূল নয়, নিয়ন্ত্রণ করা যা ‘ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু নির্মূল করা যায় না। পৃথিবীর কোনো দেশ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা যদি উন্নত দেশের সঙ্গে তথ্য ও পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। যদিও আমাদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যু হার হ্রাস করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আরও নজর দিতে হবে। চিকিৎসা সেবার মান ও পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। একজন রোগীও যেন আশঙ্কাজনক অবস্থায় না যায়, এ জন্য প্রাক যে কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মৃত্যুর হার কমাতে পারব।’

প্রতিকূল পরিবেশেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এডিস মশার যে বিস্তৃতি তা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমাদের বৃষ্টির পরিমাণ অন্য দেশের তুলনায় বেশি হয়েছে। তারপরও আমরা সেটা করতে পেরেছি। বুঝতে হবে সামগ্রিক জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে আমাদের দেশে এডিস মশার বংশবিস্তার বেশি হয়েছে, প্রজনন হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটাকে রোধ করতে হলে সকলে মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে ওঠা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও এডিসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘প্রতিকূলতা নিয়েই আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হচ্ছি। প্রতিকূলতা নিয়েই সেভাবে কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। এ জন্য আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে সাতজন ও বিকেলে ছয়জন নিয়োজিত করেছি। যে পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োজন সে পরিমাণ কীটনাশক তাদের দেয়া হয়েছে। যে পরিমাণ যান-যন্ত্রপাতি দরকার তা তাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা নিবিড় তদারকি করছি।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর