এডিস মশার উৎস খুঁজতে ড্রোন ব্যবহার করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ড্রোনের মাধ্যমে ভবনের ছাদে মশার উৎস চিহ্নিতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচির আওতায় এ কাজ করা হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘ড্রোনের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার সব ভবনের ছাদ পরীক্ষা করে দেখা হবে। ছাদে ও ছাদবাগানে জমা পানি থাকলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা গিয়ে পরিদর্শন করে দেখবেন লার্ভা আছে কি না। কারও অবহেলায় লার্ভা পাওয়ার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার সব ভবন সার্ভে করা হবে।’
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে শনিবার থেকে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে একযোগে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা আরও বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। সচেতনতা বাড়াতে আমরা ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশে শনিবার থেকে মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে মশার উৎসস্থল ধ্বংস করা হবে। এডিসের লার্ভা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।’
এ সময় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন থেকে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম-খতিব এবং স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি। ইতিমধ্যে ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’
অভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।